এম. এ হালিম,বার্তা সম্পাদকঃ
ভৈরবে দুই সন্তানকে বিক্রির ঘটনায় প্রতিবাদ করায় স্ত্রী শেফালী বেগম (৪১) কে মারধোর করে গুরুতর আহত করল স্বামী শেখ খলিলুর রহমান। ঘটনার পর পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের পঞ্চবটি এলাকায়। শেফালীর অভিযোগ তার স্বামী তার দুই শিশুকে দুইবারে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায় অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তারা শহরের পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। তবে তারা দুজনের বাড়ী ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার বিজয়নগর ও চট্রগ্রামের পটিয়া এলাকায়।
অভিযোগকারী শেফালী বেগম জানায়, তার স্বামী ২০২১ সালে তাদের শিশু সন্তান আবদুল্লাকে ২ লাখ টাকায় ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার সরাইল এলাকায় বিক্রি করে দেয়। এরপর গত দেড়মাস আগে আমার আরও এক শিশু সন্তান জলিলকে আখাউড়ার মাজার সংলগ্ন এলাকায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এনিয়ে গত কিছুদিন যাবত স্বামীর সাথেরআমার ঝগড়া চলছিল। সন্তান কার কাছে কোথায় বিক্রি করেছে এবিষয়ে চাপ সৃষ্টি করলে আজ দুপুরে আমার স্বামী খলিলুর রহমান আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি গুরুতর আহত হয়। পরে উপায় না পেয়ে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ তৎক্ষনাত ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে।
স্বামী খলিলুর রহমান বলেন, দুটি সন্তান আমার নয়। স্ত্রী শেফালীর চরিত্র ভাল নয়। সে বিভিন্ন পুরুষের সাথে মেলামেশা করে দুটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। এখন শেফালীর কোলে যে সন্তান আছে এই সন্তানটি আমার। আগে অবৈধভাবে জন্ম নেয়া দুটি সন্তান আমি বিক্রি করে দিয়েছি। সন্তান বিক্রির টাকার একটি অংশ তাকে দিয়েছি। টাকা পেয়েও সে আগের সন্তানের খোঁজ করে এবং আমাকে বকাঝকাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। একারনে রাগে তাকে আজ মারধোর করেছি। তার চরিত্র ভাল নয়।
ভৈরব শহর ফাঁড়ির উপ- পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, স্বামী খলিলুর রহমান একজন ভবঘূরে ও প্রতারক। সে সবসময় মাজারে মাজারে ঘূরে বলে এলাকাবাসী জানায়। তার বাড়ী চট্রগ্রামের পটিয়া। তার স্ত্রী শেফালীর বাড়ী বিজয়নগর। দুজন শহরের পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া থাকে। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একবার বলে সন্তান বিক্রি করেছে, আবার বলে বিক্রি করেনি। আজ দুপুরে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীকে আটক করি। শেফালী থানায় একটি অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।